মার্শা পেলো গুগল ডুডুলে সম্মান

মার্কিন মুলুকে সমকামীদের জন্য প্রথম লড়েছিল মার্শা, আজ পেরিয়েছে তারপ্ পাঁচ দর্শক, গুগল আজ বিশেষ ডুডুল তাঁর সম্মানে। 
 
আমেরিকার লিঙ্গবৈষম্য বীরধী আন্দোলনের পথিকৃৎ ,এলিজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন মার্শা পি জনসনকে
 কে সম্মান জানাতে নতুন ডুডুল পেজ তৈরি করলো গুগল। গত বছর আজকের দিনে নিউইয়র্ক সিটির প্রাইড মারছে মরণ আত্ম সম্মান পেয়েছিল মার্শা। স্থাপিত হয়েছিল তার মূর্তি।

 সেই বিশেষ দিনটিকে আজকের হোম পেজে সমুজ্জ্বল করে তুলল গুগল ডুডল।অর্থাৎ এই বিশেষ দিনে গুগলের হোমপেজ খুললেই দেখা যাচ্ছে সাত রং উজ্জ্বল পটে হাসছে মার্শার এক হাতে আঁকা ছবি।ছবিতে ক্লিক করলে পৌঁছে যাচ্ছে মার্শা নিয়ে নানা রকম তথ্য।
 ১৯৪৫ সালে ২৪ আগস্ট নিউজার্সির এলিজাবশে শহরে জন্মেছিলেন মার্শা। স্কুলের পর্ব শেষ করে ১৯৬৩ সালে এলইডিটিউব সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে কাজ করে যাবেন বলে চলে যান নিউ র্গ্রিনিচ গামে। তিনি তার নিজের নাম পাল্টে রাখেন মার্শা পি জনসন।পি অক্ষরটি বহন করার একটা বিশেষত্ব ছিল মার্শার।এই
অক্ষরটি তার লিঙ্গের পরিচয়।তিনি বলতে চান "পেইট নো মাইন্ড" অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন এটা নিয়ে অযথা মাথা ঘামাইও না।

 মার্শার জীবনের উদ্দেশ্য ছিল কোন মানুষের কি লিঙ্গ তা তার পরিচয় হতে পারে না।একমাত্র পরিচয় হতে পারে তার কাজ, এবং সে কাজের মধ্যে বুঝে নিতে হবে অধিকার। লিঙ্গের বৈষম্যের কারণে স্বীকার না হওয়ার মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে তিনি মনে করতেন। 
 ১৯৬৯ সালে ২৮ জুন মার্শার নেতৃত্বে রূপান্তরকামী মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল গ্রিনিচের স্টোলন নামে এক জায়গায়। জন্ম নিয়েছিল এক বিশাল বিদ্রোহ। তৈরি হয়েছিল গো লিবারেশন ফ্রন্ট। 
 
 মার্শা আমেরিকার লিঙ্গবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পথিকৃত ছিল।পাশাপাশি তিনি নিজের বৈচিত্র্যপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকারের কথা ভুল তুলে ধরেছেন। একসময় সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের প্রতিরোধের বিরুদ্ধ প্রতিক হয়ে উঠেছিলেন মার্শা।শেষ পর্যন্ত তার এই লাগাতার আন্দোলন সরকারকে বাধ্য করে তাদের নীতি পরিবর্তন করতে। ইউটিউব সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ সাম্য প্রতিষ্ঠা পায় এই নতুন আইনে।যা আজও এই মানুষগুলোর লড়াইয়ে বিশেষভাবে সহায়ক। 

 ১৯৯২ সালে ৬ জুলাই মারা গিয়েছিলেন মার্শা।এরপর নিউইয়র্ক সিটিতে মারসা সম্মানে গতবছর স্থাপিত হয় প্রথম সরকারি অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ। 

আজকের গুগল ডুডুল মার্শকে সম্মান জানিয়ে সম্মান জানিয়ে এঁকেছেন লস এঞ্জেলেসের অতিথি শিল্পী রব গিলিয়াম।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চাণক্যের মৃত্যু রহস্য

এক কৃষক ও ভগবান